কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কালোজিরা আমরা সবাই চিনি আমরা জানি যে মৃত্যু ব্যাতিত যে কোন রোগ কালোজিরাই ভালো করা সম্ভব কালোজিরা মৌহা ওষধ হিসেবে কাজ করে
আমরা বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য কালোজিরা ব্যাবহার করে থাকি
এই কালোজিরা শরিলের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ সহ কালোজিরার তেল আমাদের ও চুলের যত্নে কাজ করে
তাই আজকে আমি এই অ্যাটিকেলের ম্যাধমে জানাবো কালোজিরা আমাদের কি কি উপকার করে থাকে
কালোজিরা |
অন্য পোষ্ট- রসুন খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
কালোজিরার উপকারিতা
আমাদের শরিলের জন্য কালোজিরা এবং কালোজিরার তেল অনেক উপকারী বলা হয় যে কালোজিরে মৃত্যু ব্যাতিত সকল রোগের ওষুধ তাই চলুন আমরা কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই
স্বরনশক্তি বৃদ্ধির উপায়
দিনে যে কোন সময় এক কাপ কমলার রস্ কিংবা এক কাপ রং চা এর সাথে ১ চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে নিন
অথবা আধা চা চামচ কালোজিরার গুড়ো মিশিয়ে নিন এবং এভাবে প্রতিদিন খান দেখবেন আপনার স্বরনশক্তি আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে
পাশাপাশি আপনার বাচ্চা কিংবা আপনের নিজের মেধা আগের চেয়ে ভালো বিকাশিত হচ্ছে
গর্ভাবস্থায় কালোজিরার উপকারিতা
কালো কিন্তু আপনার শরিলে অনেক বেশি উপকারি কারন এটা হল মেটাবলিজমটাকে ঘটায়
এবং শরিলে অনেক সময় প্রেগনেনসি পিরিয়ড ব্যাথা থেকে থাকে বা হজম সমস্যা হয়ে থাকে কালোজিরে কিন্তু সে কাজটাই করে থাকে
এক্ষেত্রে আপনি কালোজিরার ভর্তা অথবা বিভিন্ন খাবারে সবাজি বা যে কোন খাবার তৈরি করার জন্য তার মোধে কালোজিরা দিয়ে তৈরি করে খেতে পারেন
এছাড়াও যুগ যুগ ধরে মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর জন্য কালোজিরা ব্যাবহার হয়ে আসছে এক্ষেত্রে নতুন মা কে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ঠিক দুই দিন পর থেকেই
যদি খাবারের সঙ্গে ভাত অথবা যে কোন খাবারের সাথে কালোজিরা যদি খেতে পারেন তাহলে মায়ের বুকের দুধে কখনও ঘাটতি হবে না
ঠান্ডা জ্বর কাশি হলে করনীয়
যে কোন কারনে জ্বর ঠান্ডা কাশি শ্বাস কষ্ট এ্যাজমা সব কিছু ভালো করতে পারে এই কালোজিরা
এক্ষেত্রে এক কাপ রং চায়ের সাথে আধা চা চামচ কালোজিরা পাউডার মিশিয়ে গরম গরম খেয়ে নিন এবং ভাত পানি কিংবা পানের সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন
তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কালোজিরা রাখুন তাহলে এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন
ব্যাথা কমানোর উপায়
শরিলের যে কোন ধরনের ব্যাথা আদ্ধাতিক ব্যাথা বাত ব্যাথা কিংবা সাধারণ আঘাত পাওয়া থেকে ব্যাথা
যে কোন ব্যাথার ক্ষেএে আপনি কালোজিরা খেলে খুব ভালো ফল পাবেন এক্ষেত্রে আপনি যে কোন খাবারের সাথে কালোজিরা খেয়ে নিতে পারেন
শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়
আমাদের শরিলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কালোজিরা তাই প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধায়
আপনি যে চা খাচ্ছেন গ্রিন চা বা রং চা এ চায়ের মোধে ১ চা চামচ কালোজিরার তেল অথবা আধা চা চামচ কালোজিরা পাউডার দিয়ে প্রতিদিন খেয়ে নিন
এতে করে আপনার শরিলে এমিনিটি বুষ্ট হবে এবং শরিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে গিয়ে সাধারন রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকবেন
হজম
হজমের যে কোন সমস্যায় কালোজিরা খুব ভালো কাজ করে পেট ফাঁপা দেওয়া পেট ব্যাথা করা বুকে জ্বালা পোড়া করা
যে কোন সমস্যায় কালোজিরা খুব ভালো কাজ করে এক্ষেত্রে আপনি যে কোন খাবারের সাথে কালোজিরা খেয়ে নিতে পারেন
কিংবা ১ কাপ পানির সাথে আধা চা চামচ কালোজিরা পাউডার মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন তাহলে দেখবেন খুব দ্রত আপনি পেটের সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন
কালোজিরা তেলের উপকারীতা
কালোজিরা ভালো করতে পারে না এমন কোন রোগ নাই যেমন, ধরুন চুল পড়ে যাওয়া আপনি নিয়মিত কালোজিরা খান
কিংবা সপ্তাহে ৩ দিন আপনার মাথায় কালোজিরার তেল ম্যাসাজ করুন দেখবেন চুল পড়া সমস্যা একেবারেই চলে যাবে
শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি
অনেকেরই ভিটামিন ডি ঘাটতি দেখা দেই এক্ষেত্রে কিছুটা কালোজিরার তেল শরিলে মালিশ করে সুর্যের তাপে
কমপক্ষে আধা ঘণ্টা বসে থাকুন এতে করে আপনার শরিলে ভিটামিন ডি ঘাটতি পুরন হয়ে যাবে
পাইলসের সমস্যা দূর করার উপায়
পাইলসের সমস্যা সাড়াতে কালোজিরা দারুণ উপকারি এক্ষেত্রে আধা চা চামচ তিলের তেলের সাথে আধা চা চামচ কালোজিরা তেল
অথবা আধা চা চামচ কালোজিরার গুড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন এই মৃশন টি একটানা তিন থেকে চার সপ্তাহ খেতে থাকুন দেখবেন আপনার পাইলসের সমস্যা দ্রত ভালো হয়ে গেছে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়
কালোজিরা গ্লুকোজের মাএা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এক্ষেত্রে যিনি ডায়বেটিস এ ভুগছেন
তিনি প্রতিদিন ১ কাপ পানির সাথে ১ চিমটি কালোজিরা খেয়ে নিন দেখবেন আপনার সুগার লেবেল কন্ট্রোলে থাকবে
কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা
কালোজিরা তে যদি ও অনেক গুনাগুন রয়েছে তবুও কারো কারো ক্ষেএে কালোজিরা খাবেন কি খাবেন না এটা অব্যশয় এক্টু চিন্তার বিষয়
এক্ষেত্রে গর্ভবতী যিনি আছেন আবার কখনও কখনও কারো কারো ক্ষেএে কালোজিরা খাওয়ার পরে হাই পেসেলিটি সমস্যা দেখা দেই
এক্ষেত্রে আপনি অব্যশয় একজন আয়ুবেদিক চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে কালোজিরা খাবেন কি খাবেন না কিংবা কখন খাবেন এটা ঠিক করে নিতে পারেন