কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করার ওষুধ

 আমাদের কমন একটা সমস্যা তা হল কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেসন বর্তমানে অনেকেরই এটা অনেক বড় একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে

আর এই কনিষ্টিপেসন মানে হচ্ছে পাইখানা কষা বা শক্ত হওয়া ও পায়খানা ঠিক মতো না হওয়া অনেক সময় পায়খানায় বসে থেকেও পায়খানা না হওয়া 

আবার অনেকের দুই তিনদিন পর পর পায়খানা হওয়া ইত্যাদি সমস্যা কনিষ্টিপেসন এর লক্ষন 

তাই আমি আজ এই অ্যাটিকেলের ম্যাধমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করবো আপনি কিভাবে এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি পাবেন 

তাই এই বিষয়ে জানতে পুরো অ্যাটিকেল টা আপনি মনোযোগের সাথে পড়ুন 


কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করার ওষুধ

কোষ্ঠকাঠিন্য
 



অন্য পোষ্ট- বারডেম হাসপাতালের ডাক্তারদের তালিকা হাসপাতালের তথ্য খরচ ও ফোন নাম্বার 

অন্য পোষ্ট - কুষ্টিয়া জেলার উপজেলা কইটি ও কি কি। কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত ব্যাক্তি

কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করার ঘরোয়া উপায় 


কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেসন সমস্যায় যদি আপনি ভুগে থাকেন তাহলে আপনি প্রতিদিন রাতে আপনি যখন ঘুমাবেন তার আগে ১ গ্লাস পানি নিবেন 

এবং এই পানির মোধে ২ থেকে ৩ চামচ ইসবগুলের ভুসি দিবেন ও চামচ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে পুরো শরবত টা খেয়ে নিবেন 

তবে এর মোধে চিনি বা গুড় মেশানোর দরকার নেই জাষ্ট পানির মোধে ইসবগুলের ভুসি নাড়াচাড়া করেই খেয়ে ফেলবেন 

তো আপনি এই একই নিয়মে সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি ভিজিয়ে নাড়াচাড়া করে খেয়ে নিবেন 

অনেকে আছে এই ইসবগুলের ভুসি রাতে ভিজিয়ে রাখে এবং তা সকালে খায় তো এরকম ভিজিয়ে রাখার প্রয়োজন নাই আপনি ভিজিয়ে সাথে সাথেই খেয়ে নিবেন 

আর যদি আপনার এই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা টা বেশি হয় তাহলে সকালে ও রাতে দুইবার খাবেন 

আর কারো যদি সমস্যা বেশি না হয় তাহলে সে রাতে শুধু ১ বার খেলেই হবে তাহলে আপনার এই কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেসন সমস্যা টা ভালো হয়ে যাবে 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সবজি


কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধানে প্রচুর পরিমানে শাকসবজি অথাৎ ফাইবার জাতীয় খাবার যেমন মাছ মাংস শাকসবজি বিভিন্ন ডাটার শাক মুলার শাক অনেক ধরনের শাক পাওয়া যাই এই ধরনের সবজি গুলা আপনি নিয়মিত খাবারে  রাখুন 


 এছাড়াও আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস এর নিচে আপনি পানি পান করবেন না

আর বিভিন্ন জ্যামফুড বা ফ্যাসফুড এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে 

কারন এই কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে এটা থেকে অন্য রোগ ও হতে পারে আর এই কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি রোগ হতে পারে এই বিষয়ে বলতে গেলে প্রথমেই পাইলস্ এর কথা বলতে হয় 

আরো পেটের মোধে গ্যাস হয়ে দীর্ঘদিন কনস্টিপেসন থাকার কারনে আপনি যদি ঠিকমতো চিকিৎসা না করেন 

তাহলে এখান থেকে কোলন ক্যন্সার পর্যন্ত হতে পারে তাই আমাদের এই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাবধান বা সচেতন হতে হবে


কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করনীয় 


এছাড়াও এই কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতে পেপে কিন্তু দারুণ কাজ করে তাই আপনি পেপে ভাজি রান্না ভর্তা যেভাবেই হোক আপনি পেপে টা খাবারে রাখুন 

কারন,এই পেপের মোধে এমন কিছু উপাদান আছে যা আপনার এই পাইখানা টা নরম করতে সহায়তা করে 

এর পাশাপাশি ছোলাবুট খেতে পারেন এক্ষেত্রে আপনি রাতে ১ মুঠো ছোলা ভিজিয়ে রাখবেন ও সকালে খেয়ে নিবেন 

আর যদি আপনার গ্যাসের সমস্যা থাকে তাহলে এই ছোলা টা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে এক্টু লবন দিয়ে সিদ্ধ করে খেয়ে নিবেন 

এই ছোলার ভিতরে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকার কারনে এই ছোলা বুট টা খেলে কনস্টিপেসন দুর হয়ে পাইখানা টা নরম হবে এবং পায়খানা ক্লিয়ার হবে 


কষা পায়খানা দুর করার উপায় 

 এই কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেসন দুর করার অনেক চমৎকার একটা পদ্ধতি হল এিফলা এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার অনেক জনপ্রিয় ও কার্যকর পদ্ধতি 

সেটা হচ্ছে হরতকি, আমলকি,ও বহেরা

প্রথমত এই তিনটা ফল সমপরিমাণে নিবেন এবং শুকাবেন বিচিগুলো ফেলে দিবেন ও ব্যালেন্ডারে দিয়ে পাউডার করে নিবেন বা হামাড় দিয়ে গুড়ো করে নিবেন 

এবং প্রতিদিন রাতে ১ গ্লাস পানির মোধে ১ থেকে ২ চামচ পাউডার দিয়ে ভিজিয়ে রাখবেন ও সকালে পানি টা খেয়ে নিবেন এতে করে আপনার পেটের অনেকগুলো সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন 

কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করার ট্যাবলেট


এই কোষ্ঠকাঠিন্য হলে লেক্সেনা ট্যাবলেট  একটা করে খেতে পারেন রাতে

আবার স্যুকটিন ট্যাবলেট- Sooktyn tablet এই ট্যাবলেট টা খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দুর হবে

অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপ বাংলাদেশ সিরাপ মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়া খেতে পারেন তবে যে কোন ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন


গর্ভবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করার উপায় 

পায়খানা বা মল চেপে না রেখে সময় মতো করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম হাটাহাটি বা চলাফেরা করা 

কারন, আপনি যতোই খাদ্য খান না কেনো যদি নিয়ম মেনে বা নিয়মিত ব্যায়াম ও হাটাহাটি না করেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে 

তাই ১ বার হলেও চেষ্টা করবেন পেটের ব্যায়াম করতে যাতে করে পেট পরিস্কার হয়


বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক বড় একটা সমস্যা এতে শিশুর পিতা মাতা ও সুচিন্তাই পড়ে যাই অনেক সময় শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হলে বুঝতে পারা ও মুসকিল হয়ে যাই

বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্যঃ যদি বাচ্চারা সপ্তাহে ৩ বারের কম পায়খানা করে বা পাইখানা শক্ত হয়ে মলদ্বারে যদি ব্যাথা সৃষ্টি হয় তাহলে বুঝতে হবে এটা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা 


বাচ্চাদের পায়খানা না হলে করনীয় 

আশ জাতীয় খাবার - কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে শিশুদের খাবারের তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার রাখুন এই আঁশযুক্ত খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে বিশেষ ভুমিকা রাখে 

আঁশযুক্ত খাবার যেমন, লাউ মিষ্টি কুমড়া পুইশাক ডাটার শাক মুলার শাক কলমিশাক পুদিনা পাতা ইত্যাদি এগুলো তে প্রচুর আশ রয়েছে 

পানি - খাবার হজমে সহায়তা করে পানি তাই বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে আর পানি যদি খেতে না চাই তাহলে ফলের রস্ বা জুস খাওয়াতে পারেন 

মলত্যাগের অভ্যাস গড়ে তোলাঃ বাচ্চাদের পাইখানার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে আর যেসব বাচ্চারা পাইখানাই যেতে পারে না তাদের জন্য পর্টিতে বসিয়ে দিন এবং শিশুর মলত্যাগের প্রতি উৎসাহিত করা

ফাস্টফুড জাতীয় খাবার না খাওয়া অনেক শিশু দুধ খেলে অন্য যে কোন খাবার আর খেতে চাই না বিশেষ করে আঁশযুক্ত খাবার 

তাই ১ বছরের বেশি এমন শিশুদের হাফ লিটার ( ১৬ আউন্স) থেকে পৌনে ১ লিটার ( ২৪ আউন্স) এর বেশি দুধ খাওয়াবেন না


বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে - বাচ্চা কে রাতে ইসবগুলের ভুসি পানির মোধে দিয়ে সাথে সাথে ভিজিয়ে খাওয়া তে পারেন অথবা দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া তে পারেন 

বাচ্চার ওষুধের প্রতি খেয়াল - ঠান্ডা জ্বর কাশি সর্দি ইত্যাদি যে কোন রোগের জন্য শিশু কে ডাক্তরের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াবেন 

এবং ওষুধ খাওয়ানোর কারনে বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে কি না সে বিষয়ে লক্ষ রেখে ডাক্তার কে জানানো এবং যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে ডাক্তারের কিছু ওষুধের পরামর্শ নিবেন 

যা শিশুর উপর ভালো কাজ করে


তাই বাচ্চাদের পাইখানাই ব্যাথা কষ্ট ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় পড়েন নাই এরকম বাবা মা কমই আছে 

তাই শিশু কে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি পযার্প্ত পানি খাওয়ানো শিশুদের নিয়মিত খেলাধুলা এসব বিষয়ে খেয়াল রাখুন

আর যদি এই বিষয়গুলো লক্ষ রাখার পর ও কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন 



তাই আপনার যদি এই কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে তাহলে আপনি উপরের দেওয়া ফরমুলা অনুযায়ী যদি ঘরোয়া ভাবে বিষয় গুলো মেনে চলেন তাহলে এই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url