তেলাকুচা পাতার ব্যাবহার। তেলাকুচা পাতার উপকারিতা

 আমাদের বসত বাড়ি তে কিংবা বনে জঙ্গলে অনেক জাগাই আমরা তেলাকুচা পাতা দেখতে পাই এটা যেখানে সেখানে হয়ে থাকে এটি এক ধরনের ভেষজ এই তেলাকুচা পাতা ও তেলাকুচা ফল প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে 

অন্য পোষ্ট- কালোজিরে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

রসুন খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা 

আনারস খাওয়ার নিয়ম ও  উপকারিতা 


তেলাকুচা পাতার ব্যাবহার। তেলাকুচা পাতার উপকারিতা
তেলাকুচা পাতা 


তেলাকুচা পাতার উপকারিতা 

তেলাকুচা পাতা আমাদের মানব দেহের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে

 একদল গবেষক তেলাকুচা পাতার মোধে ডায়বেটিস নিমুর্লকারি এক ধরনের উপাদান পেয়েছে 

তারা মনে করছেন তেলাকুচা মোধে ন্যাচারাল ইনসুলিন রয়েছে আর এর মোধে থাকা থ্রায়ামিন প্রোটিন এবং চর্বি কে ভাঙ্গতে সহায়তা করে 

ফলে এটি অনেক বেশি হজম সহায়ক অথাৎ যাদের ডায়বেটিস আছে বা রক্তে সুগারের পরিমাপ বেড়ে গেছে 

তারা যদি নিয়মিত সকাল বেলা খালি পেটে ১ কাপ তেলাকুচা পাতার রস্ খেয়ে নিন এতে করে সুগারের লেবেল কন্ট্রোলে থাকবে


চুলের যত্নে তেলাকুচা পাতা 


যাদের চুল উঠে যাই চুল হাচরাতে গেলে ১০-১২ টা করে চুল উঠে যাই আপনার যদি এমন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতির ম্যাধমে তা সমাধান করতে পারেবেন 

আপনারা অনেকেই শুনেছেন তেলাকুচা পাতার নাম এই তেলাকুচা পাতার মোধে ভিটামিন E থাকে যা মাথার চুল এবং মাথার জন্য দারুণ উপকারী 

আর এতে কোন সাইট্রিফেক্ট নাই 

এক্ষেত্রে আপনি কিছুটা তেলাকুচা পাতা বেটে বা ব্যালেন্ডারে পেষ্ট করে নিবেন ২ থেকে ৩ চামচ তেলাকুচার পেষ্ট নিবেন 

এর পর পরিমাণ মতো দুই চামচ পেঁয়াজ বাটা নিবেন এবং এর মোধে দুই চামচ কাষ্টার ওয়েল নিবেন এই কাষ্টার ওয়েলের মোধে ভিটামিন E থাকে আপনারা বাজার থেকে ভালো মানের ও অরজিনাল কাষ্টার ওয়েল নিবেন

এবার এই তিনটা উপাদান খুব ভালো করে একএে মিস্ক করে নিবেন এটা বানিয়ে টাটকা ব্যাবহার করাই ভালো তবে চাইলে আপনি ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন 

ব্যাবহারের নিয়মঃ আপনি গোসলের ঠিক দেড় ঘন্টা আগে এই পেষ্ট টি আপনার মাথায় সিথিতে এবং চুলের প্রতিটা গোড়ায় এমন ভাবে লাগাবেন 

যাতে আপনার চুলের গোড়ায় ভালোভাবে পৌছাতে পারে এবং লাগানোর ১ থেকে দেড় ঘন্টা পরে শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন 

এভাবে ১৫ থেকে ২০ দিন করলে আপনার মাথাই চুল পড়া সমস্যা একেবারেই চলে যাবে 



তেলাকুচা পাতার ওষধি গুন 

জন্ডিস, অনেকেই জন্ডিসের সমস্যায় ভুগে থাকেন আপনি নিজেই এই জন্ডিস এর সমস্যা ভালো করতে পারবেন শুধু তেলাকুচা পাতার ম্যাধমে 

এক্ষেত্রে দুই টেবিল চামচ  তেলাকুচা পাতার রস্ এবং ১ টেবিল চামচ কাচা হলুদের রস্ সকাল বেলা খালি পেটে খেয়ে নিন দেখবেন কয়েক দিন এর মোধে আপনার জন্ডিস এর সমস্যা চলে গেছে 

জ্বর সর্দি কাশি হলে কি করা উচিত 


যাদের শ্বাস কষ্টের সমস্যা দেখা দেই কিংবা সর্দি কাশি লেগেই থাকে তারা তেলাকুচা পাতার রস্ সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন 

তাহলে শ্বাসকষ্ট থেকে নিজেকে দুরে রাখতে পারবেন এবং যাদের ঠান্ডা লাগা থেকে জ্বর চলে আসে তারা তেলাকুচা পাতার রস্ আদার রস্  এবং মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন এই ঠান্ডা লাগা থেকে জ্বর আপনাকে কাবু করতে পারবে না 

ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল 

যারা ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল করতে পারছেন না অথবা অনেকেরই মাথা খুব গরম থাকে হাত পা গরম হয়ে যাই তাদের জন্য বলছি 

কয়েক টি তেলাকুচা পাতা বেটে আপনার মাথার ঠিক তালু তে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট এতে করে আপনার হাত পা জ্বালা পোড়া করা বুক জ্বালা পোড়া করা ও প্রেসার কন্ট্রোল করা এবং মাথার তালু গরম হওয়া এই ধরনের সমস্যা থেকে আপনি দুরে থাকতে পারবেন 


ব্রন এর কালোদাগ দুর করার উপায় 

যাদের ব্রন ওঠা সমস্যা আছে তারা সকালে এবং সন্ধায় দুই বার করে কিছুটা তেলাকুচা পাতার রস্ ব্রন এর উপর লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে দিন 

দেখবেন ব্রন ওঠা সমস্যা টা অনেকটাই কমে গেছে 


মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি জন্য খাবার


তেলাকুচা পাতা প্রসুতি মায়েদের বুকের দুধ বাড়ানোর জন্য তেলাকুচা পাতা দারুণ উপকারী এক্ষেত্রে ১ টেবিল চামচ তেলাকুচা পাতার রস্ সমান্য গরম করে প্রসুতি মাকে খাওয়াই দিন

দেখবেন মায়ের বুকের দুধের পরিমাণ বেড়ে গেছে 

আমাশয় হলে করনীয় 


যারা দীর্ঘদিন ধরে আমাশয়ে ভুগছেন তারা তেলাকুচা গাছের শিকড় ও তেলাকুচা পাতার রস্ এক সঙ্গে করে এর সাথে এক টেবিল চামচ আদার রস মিশিয়ে খেয়ে নিন 

একটানা ৭ দিন খেয়ে নিন দেখবেন যে অনেক দিনের পুরনো আমাশয় থেকে আপনি একদম সুস্থ হয়ে উঠছেন 


অরুচি থেকে মুক্তি 


যাদের অরুচি সমস্যা আছে তারা তেলাকুচা পাতা ভেজে গরম গরম ভাতের সাথে খেয়ে নিন দেখবেন দিন দিন আপনার মুখের রুচি বেড়ে যাচ্ছে 

১০০ গ্রাম তেলাকুচা পাতায় ১.৪ মিলিয়ন আয়রন থাকে ফলে যিনি আয়রনের সমস্যায় ভুগছেন অথবা আয়রন জনিত সমস্যার কারনে অবস্বাদে ভুগছেন দুর্বলতায় ভুগছেন 

তিনি নিয়মিত ৮ থেকে ১০ টি তেলাকুচা পাতার রস্ খেয়ে নিন এতে করে আপনার আয়রন ঘাটতি দুর হবে এবং পাশাপাশি আপনার দুর্বলতা কেটে গিয়ে আপনি সুস্থ সবল হয়ে উঠবেন

নার্ভের রোগের সমাধান


তেলাকুচা পাতায় থাকা এন্টি অস্কিডেন্ট আমাদের নার্ভ কে শান্ত রাখতে সাহায্য করে ফলে আমাদের যে কোন স্নায়নিক দুর্বলতা ক্ষেএে তেলাকুচা পাতা দারুণ ভুমিকা রাখে 


তেলাকুচা ফলের উপকারিতা


তেলাকুচা ফল কি খাওয়া যাই  তেলাকুচা পাতা ও তেলাকুচার ফল এই দুটোর মোধে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা কি না আমাদের হজমে সহায়তা করে এবং পাশাপাশি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হতে দেয় না তাই যদি আপনি নিয়মিত তেলাকুচা পাতার রস্ খান 

কিংবা তেলাকুচা ফল খেতে পারেন তাহলে আপনার কখনোই পেটে সমস্যা দেবে না

এছাড়াও কিডনি তে যে পাথর হয় তা এক ধরনের ক্যালসিয়াম জাতীয় খনিজ পদার্থ যা প্রসাব এর সাথে বেড় হতে পারে না ফলে কিডনি তে জমা হয়ে পাথর ধারন করে 

গবেষণায় দেখা গেছে তেজপাতা পাতার মোধে যে উপাদান রয়েছে তা এই জমে থাকা ক্যালসিয়াম কে মুএপথে বের হওয়াতে সাহায্য করে 

তাই আপনি যদি নিয়মিত তেলাকুচা পাতার রস্ ও তেলাকুচার ফল খেতে পারেন তাহলে আপনার কিডনি তে কখনোই পাথর জমবে না 


তেলাকুচা পাতার ইংরেজি নাম


তেলাকুচা পাতা আমাদের শরিলের জন্য অনেক উপকারী আর এটা প্রাকৃতিক ওষধ ও বটে এই তেলাকুচা পাতা ইংরেজি নাম হলো scarlet gourd'ivy gourd baby watermclon, little gourd বা gentleman's toes বলা হয় 


তেলাকুচা পাতার বৈঙ্গানিক নাম

বিঙ্গানি রা তেলাকুচা পাতার মোধে অনেক রোগ ভালো করার তথ্য পেয়েছে আর এই তেলাকুচা পাতার বৈঙ্গানিক নাম হলো Coccinia

তেলাকুচা পাতার রস্ ডায়বেটিস জন্ডিস সমস্যা ঠান্ডা জ্বর আমাশয় খাবারে অরুচি ও চুলের যত্ন সহ অনেক উপকারে কাজ করে 



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url