ভিটামিন এ এর উপকারিতা।ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকার। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

 ভিটামিন এ আমাদের শরিলের খাদ্যোর জন্য একটি খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান ভিটামিন এ এটার রাসায়নিক নাম রেটিনাল আমাদের শরিলে ভিটামিন এ জারিত হওয়ার ম্যাধমে রেটিনয়িক এসিড তৈরি হয়

তাই আমাদের সবার  শরিলে ভিটামিন এ খুবই প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ আমাদের শরিলের রোগ প্রতিরোধ খমতা বাড়িয়ে তোলে ভিটামিন এ অভাব দেখা দিলে দৃষ্টিশক্তি ও লোপ পাই 

এমন কি অনেক শিশু অন্ধ ও হয়ে যাই ভিটামিন এ অভাবে রাতকানা রোগ হতে পারে এছাড়াও অনেক রোগ শরিলে বাসা ও বাধতে পারে ভিটামিন এ অভাবে 

তাই চলুন এই অ্যাটিকেলের ম্যাধমে জেনে নিই ভিটামিন এ উপকারীতা ও কোন কোন খাদ্যের ম্যাধমে ভিটামিন এ পাবো।


ভিটামিন এ এর উপকারিতা।ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকার। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
ভিটামিন এ 



অন্য পোষ্ট - লেবু খাওয়ার উপকারীতা ও অপকারিতা।খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারীতা

অন্য পোষ্ট - ভিটামিন বি এর উপকারীতা।ভিটামিন যুক্ত খাবারের তালিকা। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স খাওয়ার নিয়ম 

ভিটামিন এ অভাবজনিত রোগঃ

 আমাদের শরিলে ভিটামিন এ অভাব দেখা দিলে যে রোগ টি হতে পারে সেটি হলো রাতকানা রোগ আর এই রাতকানা রোগি দিনের আলোয় স্বাভাবিক ভাবে চলেফেরা করলে ও তারা রাতের বেলায় দেখতে সমস্যা হয়

এছাড়াও শরিলে রক্ত সল্পতা অভাবে অ্যামিনিয়া ও প্রাপ্ত লৌহের স্বাভাবিক ঘাটতি ত্বক শুল্ক কম বয়সে মুখে বলিরেখা নিশ্বাসে সমস্যা চুল পড়া এইডস স্কীন ক্যান্সার সহ বিভিন্ন প্রকার রোগ শরিলে বাসা বাধাতে পারে 

তাই ভিটামিন এ জাতীয় রোগ থেকে বাঁচতে হলে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খাওয়া অত্যান্ত জরুরি 

ভিটামিন এ জাতীয় খাবারঃ 

ভিটামিন এ জাতীয় খাবারগুলো নিচে তুলে ধরা হলো আর এই খাবার গুলো হল 

১) কালো কচুরশাক 

২) সজনে পাতা 

৩)পুইশাক 

৪) হেলেঞ্চা শাক

৫)ধনিয়াপাতা 

৬)লালশাক

৭) পাটশাক

৮)থানকুনি পাতা

৯) পালংশাক

১০) পুদিনা শাক

১১)কলমি শাক

১২) মুলা শাক

সহ ইত্যাদি শাক সবজি তে ভিটামিন এ পাওয়া যায় 


ভিটামিন এ বিভিন্ন প্রকার প্রানিজ খাবারঃ 

১) খাসির কলিজা 

২) মলা ও ঢেলা মাছ

৩) মুরগী মাংস ও ডিম

৪) হাঁসের ডিম

বিভিন্ন প্রানিজ উপায় থেকে ভিটামিন এ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তা হল মাছের তেল, ডিমের কুসুম,পনির, মাখন,দুধ


ভিটামিন এ জাতীয় ফলের নাম

১) পাকা আম

২) পাকা কাঠাল 

৩) পাকা পেঁপেঁ 

৪) আনারস

৫) আমড়া

৬)বাতাবি লেবু 

৭) পেয়ারা ইত্যাদি 

ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম 

ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুকে খালি পেটে খাওয়াবেন না কারন, খালি পেটে এটা খাওয়ালে শিশুর ক্ষতি হতে পারে 

আর এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল মুখ কেটে ভেতরের তরল পদার্থ শিশুকে খাওয়ানো হয় তাই শিশু কান্না অবস্থায় ও খাওয়ানো না এতে শিশু লালার সাথে শিশুর মুখ থেকে তরল পদার্থ বের হয়ে যেতে পারে 

ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার বয়স 

৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় এবং যে শিশুদের বয়স ৬ মাস থেকে ১১ মাস তাদের নীল রঙ্গের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি ১ টি করে লাল রংয়ে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।


ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা 

প্রত্যাক টা শিশু কে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো উচিত কারন এই ভিটামিন এ ক্যাপসুলে অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমন,

১) শিশুর রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে 

২) শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাই

৩) বিভিন্ন জীবানু সংক্রমন ভিটামিন এ শরিল কে রক্ষা করে 

৪) দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক রাখে

ভিটামিন-এ ক্যাপসুল এর প্বার্শপ্রতিক্রিয়া 

ভিটামিন এ ক্যাপসুলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তাই এটি শিশুকে নিভিঙ্গে খাওয়াতে পারেন


ভিটামিন এ এর রাসায়নিক নাম 

ভিটামিন-এ রাসায়নিক নাম হল রেটিনাল আমাদের মানবদেহে ভিটামিন এ জারিত হয়ে রেটিনোয়িক অ্যাসিড তৈরি করে। 



উপরোক্ত অ্যাটিকেলের ম্যাধমে ভিটামিন এ উপকারীতা কোন কোন খাবারে ভিটামিন এ পাওয়া যাই ভিটামিন-এ কমপ্লেক্স ও খাওয়ার নিয়ম বিষয়ে আলোচনা করেছি আশা করি এই অ্যাটিকেলের ম্যাধমে আপনারা সঠিক তথ্য পেয়েছেন

আর এই ধরনের আনকমন তথ্য পেতে বাংলা আইটি সেবা এর সাথেই থাকুন 

এতোক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url